পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত শত্রুরা এখনো সক্রিয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্লাটফরম যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে। কখেনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে।
পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী। তারা ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এতো প্রতিকূলতার ভেতরেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে প্রমাণ করেছেন তিনি হত্যাকাণ্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারিই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে।
তিনি আরও বলেন, শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যোষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহ-সভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।
এস/এ