মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে দানবীয় আচরণকারিরাই গণমাধ্যমের বন্ধু সেজে সরকার বিরোধী উসকানি দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জনগণ বিএনপি নামক বর্ণচোরা দলটিকে ভালো করে চিনে। তাদের কোনো অপকর্ম সফল হবে না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট যে দানবীয় অত্যাচার চালিয়েছিলো, তা দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারক ও বাহক বিএনপি।
শনিবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তার বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এবএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর।
আন্দোলনের সক্ষমতা হারানো বিএনপি নামক একটি দল এখন উসকানিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ দিয়েছিলো।
অন্যের আন্দোলনে ভর করে বিএনপি এগিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। মিথ্যাচার আর পরাশ্রয়ী রাজনীতি বিএনপির মেরুদণ্ডহীনতাই প্রমাণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৎস্যজীবী লীগে মৎস্যজীবীদের প্রধান্য দিতে হবে। যাদের মৎস্যজীবীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ন করতে চাই। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। যুব সমাজকে চাকরীর পিছনে না ছুটে মৎস্য উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
স/এষ্