করোনায় মৃত্যু বেড়ে ২২৮, শনাক্ত ১১ হাজার ২৯১
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২৮ জন। এতে এক ধাক্কায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে গেলো ৩৩ জন। গত ২৪ জুলাই ১৯৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মৃত্যুর পাশাপাশি বেড়েছে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে ১১ হাজার ২৯১ জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
গত ২৪ জুলাই ছয় হাজার ৭৮০ জন, আর তার আগের দিনে ছয় হাজার ৩৬৪ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৮ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ১৯ হাজার ২৭৪ জন। আর শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ২৯১ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন নয় লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৭২টি আর পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ হাজার ৬৮৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি।
এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ জন আর নারী ১০৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১৩ হাজার ১৯৯ জন আর নারী ছয় হাজার ৭৫ জন।
এদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আট জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুই জন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৫০ জন, বরিশাল বিভাগের ছয় জন, সিলেট বিভাগের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫ জন।
আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন আর বাড়িতে ১৪ জন।
এস/এ