————–বরষা
——-সুদীপ চন্দ্র হালদার
গরমের উত্তাপ থামিয়ে দেয়া তুমি সিগ্ধ প্রশান্তি,
পঙ্কিলতার বিসর্জনের বারতায় কল্যাণের সৃষ্টি,
কদম ফুলের প্রস্ফুটনে তুমি অনন্য রূপবতী,
আমার বাড়তি ঘুমের আয়োজনে অনবদ্য তুমি।
কিশোরের ফুটবল মাঠে তোমার দারুন উপস্থিতি,
পাড়ার ক্রিকেট মাঠে যে তুমি অতীব বিরক্তি,
বিকালে পায়চারীরত তরুণীর তুমি নিজস্বী,
এক ঝাঁক তরুণের মুখে গানের ঝংকার তুমি।
শিশুর তোমার স্পর্শে আসায় মায়ের বকুনি,
তোমার বর্ষণে কিশোরীর ছাদেতে নৃত্যগীত,
ছাতা হাতে মাঝ বয়সীর পিতার বাড়ি আগমন,
তুমি যে আজি ঘরে ঘরে খিচুড়ির কারন।
তুমি যে ফুলের বন্ধু-তোমারি ছোয়াতে সে অপ্সরী,
রজনীগন্ধা, বেলী, টগর আজি বড্ড সিন্ধময়ী,
তোমারি আগমনে জাগে হৃদয়ে প্রেমের ছন্দ,
তুমি যে অতি আবেগময় এক অনাবিল আনন্দ।
তোমার জন্য আজি শ্রমজীবি ভাই কর্মহীন,
ভারী বারিধারায় পতনে তুমি পাহাড়ী ঝুঁকি,
তোমারি কারণে বিক্রোলী-চিম্বুরে পঁচিশ মৃত্যু,
তুমি কি বুঝ সন্তান হারা মায়ের ক্রন্দন-বরষা।।
এস/এ