দেশবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার যে সূচনা হয়েছিল। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা বিকশিত হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনবদ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তৃণমূলে কর্মীরাই সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর সেদিন নেতৃত্ব দেওয়া কামরুল ইসলাম কিন্তু মহানগরে বড় নেতা ছিল না। কিন্তু মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা কামরুল ইসলাম ও শাহ আলম মুরাদরা সেদিন যে রোল প্লে করেছিলেন, ওই রোল যাদের প্লে করার কথা ছিল তারা কিন্তু প্লে করেননি।
যে নেতারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সে নেতাদেরও কিন্তু শেখ হাসিনা ধারণ করেছেন। কিন্তু ওইযে বলেছেন, ক্ষমা ক্ষমা ক্ষমা, কিন্তু ভুলি নাই, ভুলি নাই, ভুলব না।
এমন অবস্থা ধারণ করার মতো বিশাল বুকের পাটা কারো নেই। কিন্তু শেখ হাসিনার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ছিল বলেই হয়তো তিনি ধারণ করতে পারছেন। অন্যসব দলে যারা দলীয় নেত্রীকে মাইনাস করতে চেয়েছে তারা কিন্তু তাদের দলে নেয়নি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় আরও অংশ নেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান সুইটি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম রনি প্রমুখ।
এস/এ