কোটালীপাড়ায় কোরবানির পশু নিয়ে আশার আলো দেখেছেন খামারিরা

কোটালীপাড়ায় কোরবানির পশু নিয়ে আশার আলো দেখেছেন খামারিরা

গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া প্রতিনিধি, সমীর রায়: করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন শিথিল করার কারণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলায় খামারিরা গরু-ছাগল নিয়ে আশার আলো দেখছেন।

খামারিরা আশা করছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাট জমে উঠবে। তবে পর্যাপ্ত পাইকার না থাকায়, গবাদিপশু বিক্রি করা নিয়েও আশঙ্কা করছেন।

কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের সোনাখালি গ্রামটিতে প্রায় দুই হাজার কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে।

এছারা কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষা পড়া গ্রামের খামারের মালিক জামীর আহম্মেদ শাহালম জানান,দুই বিঘা জায়গায় খামার করি। খামারটি ১০৮ হাত লম্বা ১৮ হাত চওড়া। এখন আমার খামারে বর্তমানে ৫৩টি গরু আছে। প্রায় ৫০ টি গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করবো। আশাকরি প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে।

পিঞ্জুরী ইউনিয়নের সোনা খালী গ্রামের খবির গাজী বলেন, আমরা প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই। প্রতিটি পরিবারে গরু পালন করে। এ গ্রামে প্রায় দুই হাজার কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুুত। আমার ১৩ টি গরু আছে। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি।

আগে এই সময় বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাইকাররা আসতো। এখন আসেনা। হাটও বন্ধ। কি করবো ভেবে পারছি না।সময় মত বিক্রি করতে না পারলে আমরা পথে বসবো।

গ্রামের আলী তালুকদার, বাবুল গাজি,জাফর গাজি,কামরুল মোল্লার, সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি পরিবারে ১০-১৫টা করে গরু আছে।

বর্তমানে করোনা ও লকডাউনের কারণে পাইকার সংকটে ও হাট-বাজারে গবাদিপশু বিক্রিতে ভাটা পড়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে খামারিদের।

কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাসের কাাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার উপজেলায় চার হাজার পাঁচ শত ছোট বড়ো সাইজের পশু বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। সোনাখালি গ্রামেই, দুই হাজার পশু বিক্রি হবে। আশা করি, সময়মতো সব পশু বিক্রি হয়ে যাবে।
এস/এ