বন্যপ্রাণী আইন লংঘন করায় গ্রামীণফোনকে আইনের আওতায় আনার দাবি

বন্যপ্রাণী আইন লংঘন করায় গ্রামীণফোনকে আইনের আওতায় আনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা পৃথিবীতে যখন পরিবেশ বিপর্যয় প্রকট আকার ধারণ করেছে, প্রাণ প্রকৃতি বিপন্ন সেখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লংঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

বৃহস্পতিবার সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রামীণফোন তার ব্যাবসায়িক সুবিধার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, একজন বাবা তার সন্তানের জন্য খাঁচায় বন্দী একটি পাখিকে বাসায় নিয়ে এসেছে। এই বিজ্ঞাপনটি দেখে সারাদেশে শিশুরা তার বাবা-মায়ের কাছে খাঁচায় বন্দি পাখি কেনার জন্য উৎসাহিত হতে পারে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২-এর ৩৮ নম্বর ধারার-২এর উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রাণী ক্রয় বা বিক্রয়, তার দেহ অবশেষ দখল, কিংবা খাঁচায় বন্দী করে রাখালে তাহা আইনত সম্পন্ন দণ্ডনীয় অপরাধ।

তিনি বলেন, যখন পরিবেশ বিপর্যয় ও প্রাণীর নিরাপত্তা সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা তৈরিতে রাত দিন পরিশ্রম করছি, গ্রামীণফোন সেখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনের নামে ব্যাবসায়িক সুবিধার জন্য অপপ্রচার করছে। অবিলম্বে গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এই প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় না আনা হলে আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয়ে উৎসাহিত হবে।

বিবৃতিতে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়-১. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনকে আরো আধুনিকায়ন করতে হবে। ২. বন মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে লোকবল নিয়োগ করতে হবে এবং বন্যপ্রাণী দমন ইউনিটের আর্থিক সাহায্য বাড়াতে হবে। ৩. সারাদেশে জনসচেতনতা তৈরির জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে স্টেকহোল্ডার বডি তৈরি করতে হবে। ৪. বন্যপ্রাণী নিধন রোধ করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ৫. বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম তৈরি করতে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে এবং সব বন বিভাগের কর্মকর্তার দুর্নীতি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এস/এ