শালিক

—————শালিক

—————সুদীপ চন্দ্র হালদার

সুন্দর ভোরের এই মধুলগনে জোড়া শালিক বারান্দাতে,
দিন বুঝি আজি যাবে ভাল, শুভ সংবাদ ঐ আসে বুঝি।
ডান চোখের ভ্রু কাপছে যে, প্রিয় দর্শন হয় বুঝি আজি,
ডান হাতের তালু চুলকাচ্ছে যে, টাকা বুঝি আসে আজি।

ভরদুপুরে চোখের সামনে কেন শালিক একটা হায়!
গেল বুঝি সব, কোথায় যেন কি খারাপ হচ্ছে বুঝি!
বাম চোখের ভ্রু কাপছে কেন? ঝগড়াঝাটি কি আসন্ন,
হায়, টাকা যা ছিল গেল বুঝি, বা হাতের তালু চুলকায়।

ইষ্টু কুটুম ডাকে মগডালে, আত্মীয়-স্বজন আসে বুঝি তাই!
হুতোম পেচা ডাকে ঐ, বিপদ বুঝি আসে তাড়াতাড়ি হায়!
মনের ঐ গহীন কোণে, কত কিছু চলে সদা সর্বদা;
মনের ভাবনায় আসে প্রশান্তির ঘুম, কারও বাড়ে রক্তচাপ।

জোড়া শালিক দেখে রাম যায় আনন্দে ধান ক্ষেতে,
মৌসুম শেষে সোনালী ধানে ভরে আহ্লাদিত মন আর
উঠান; এক শালিক দেখে মধুর হয়নি ঘুম ঠিক সপ্তাহ
খানেক, ডাক্তার বললেন ডায়াবেটিস বেড়েছে তাই!

ডান ভ্রু কম্পনে শ্যাম যায় হর্ষানন্দে খেলার মাঠে,
মনে তার উদ্যম, করল জোড়া গোল, জিতল দল!
শুভ’র আজি বুঝি সবই অশুভ, বাম ভ্রু কেপেছে তাই!
কিছু ভাল্লাগে না, মাথা ঘোরে, কিভাবে ঘরের বাইরে যাই!

কল্যাণময় ভাবনা, মঙ্গলময় কর্ম, ইতিবাচক উপভোগ;
মানে কি তাই হয় না জীবনের এই? সত্যিই তাই হয়।
মনে শুভ-কল্যাণ-মঙ্গলের চিন্তা টানে সদা তাহাই;
বিপরীত মনের নেতিবাচক চিন্তা টানে অমঙ্গল সদাই।

হাতের রেখার ভাগ্যে বিশ্বাসী হয়নি কোন কালে বীর,
শুভ কর্মের আত্মবিশ্বাসে সদাই বলীয়ান বীরত্বে।
জোড়া শালিকের একটা হয়তো ছিল খানিক দূরে;
তাই বলে কি বরবাদ হয় সৃষ্টির সেরা মানুষের ভাগ্যে।

মনের গহীনের নেতিবাচকতা এনেছে সদা অকল্যাণ,
এক শালিক নয়তো কখনো তোমার ভাগ্য বিধাতা।
দেখিয়া এক শালিক ছাড়িছ শুভ কর্ম যত ছিল তব;
অকর্মে অকল্যাণ ব্যতিরেকে কল্যান হয়নি কভূ।