মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আ ক ম মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের দালাল ট্যাগ লাগিয়ে এ দেশের সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এসব অপপ্রচারকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সংগঠনপ্রিয়। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্যে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ করতে বঙ্গবন্ধুর আন্তরিকতা আর সাংগঠনিক তৎপরতা চিরস্মরণীয় যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে তুলে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে পদ্মা সেতুর মতো দ্বিতীয় বৃহৎ প্রকল্প মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আল্লাহর আইন চাই বলেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড করেছে। সৎ লোকের শাসন চাই বলে জঙ্গিবাদ কায়েম করেছে। ইসলামের মূল্যবোধ, ধর্ম চর্চার নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা আজ দৃষ্টান্ত।

অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশের ইতিহাস লেখতে হলে আওয়ামী লীগের ইতিহাস সবার আগে লেখতে হবে। এই দলকে নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকের এই জায়গায় আসতে হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে অনলাইন ও মাঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মো. মনির খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. অমল কুমার ঘোষের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. এসএম মোস্তফা জামান, মনোয়ারা বেগম চৌধুরী মুন্নি প্রমুখ। এস/এ