জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ জন্য দলকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও কোন্দল মুক্ত করে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেন।
রোববার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই, দুই বছর আছে। দলকে দ্বন্দ্ব-কোন্দল মুক্ত করে সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দলের মধ্যে দৃঢ়তা ও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে।’
দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে সম্মেলন করে নতুন কমিটি দিতে হবে। এর পর জেলা সম্মেলন করতে হবে। পকেট কমিটি করা যাবে না। প্রয়োজনে ঘরোয়াভাবে সম্মলন করে কমিটি দিতে হবে। নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য পকেট কমিটি করা যাবে না। কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা হয়ে যাবে।’
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক, মাদক ব্যবসায়ীদের দলে ও কমিটিতে নেওয়া যাবে না। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।’
বিএনপি’র কঠোর সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল বিএনপি। হাওয়া ভবনের নামে খাওয়া ভবন চালু করে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল। কোনও দুর্নীতির বিচার হতো না। কোনও নেতা বা কর্মীকে শাস্তির আওতায় আনা হতো না। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুকন্যা জিরো টলারেন্স নিয়ে চলছেন। আমাদের দলের অনেকের সাজা হয়েছে। অনেকে জেলে আছে, দুদক তদন্ত করছে। বিএনপির সময় এটা ভাবাই যেত না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন “জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক বানানোর চেষ্ট হচ্ছে।” বস্তুতপক্ষে আওয়ামী লীগ না, জিয়াউর রহামন তাঁর কর্মেই ইতিহাসের খলনায়ক। ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বেনিফিসিয়ারি জিয়াউর রহমান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বহুদলীয় তামাশার প্রচলন করেছিল বিএনপি। বিএনপি এ দেশের জন্য কী করেছে, যার জন্য জনগণ তাদের মনে রাখবে, আন্দোলনে সাই দেবে? বিএনপি মানুষের উন্নয়ন চায় না, তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে এটাই বিএনপির গাত্রদাহ। ১২ বছর আগের ঋণগ্রস্ত বাংলাদেশ আজ ঋণদাতা বাংলাদেশ। শ্রীললঙ্কা ও সুদানকে আমরা ঋণ দিয়েছি। বিএনপি এসব দেখতে পায় না।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান খান, সাংগঠনিক সম্পাদ মির্জা আজম প্রমুখ।