রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিমানের টিকিটে লেবার ফেয়ার দেওয়ার দাবি

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিমানের টিকিটে লেবার ফেয়ার দেওয়ার দাবি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা চার দফা দাবি জানান। এরমধ্যে রয়েছে-জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প ঘোষণা করে মালিকদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া, স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে বৈধভাবে কর্মী প্রেরণ করা সত্ত্বেও মানব পাচার আইনে মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও ফরেন দূতাবাসে তালিকাভুক্ত করা।

বক্তারা বলেন, সৌদিসহ আরব দেশগুলোর এয়ার টিকিটের মূল্য বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অযৌক্তিকভাবে তিন-চার গুণ বাড়িয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮/২২ হাজার টাকায় আরব দেশগুলোর এয়ার টিকেট মূল্য হলেও বাংলাদেশ থেকে একই গন্তব্যে এয়ার টিকিটের মূল্য ৭০/৯০ হাজার টাকা।

তারা বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি নারী-পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। করোনার কারণে জনশক্তি প্রেরণ খাত তথা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালনসহ বিএমইটির দেওয়া স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কর্মসংস্থান করে থাকে। পাসপোর্ট, ট্রেনিং সেন্টার, ভিসা সত্যায়নে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস, মন্ত্রণালয়/বিএমইটির যাচাই-বাছাই অনুমোদনসহ একজন কর্মীকে প্রেরণে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও আইনের জামিন অযোগ্য ধারায় জেল জুলুম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে কর্মী প্রেরণ করলে সেটি মানব পাচার আইনের আওতামুক্ত ঘোষণাসহ জাতীয় সংসদের মাধ্যমে মানব পাচার আইন-২০১২ আইনটি সংশোধন চাই।