চলতি মাসে ৩২ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়লেও কমেছে সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর ও রাজশাহী। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
খুলনায় সংক্রমণের হার ৩২.৪৫ শতাংশ, নাটোরে ৩০ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা ৪৪ শতাংশ, কুড়িগ্রামে ৩৬ শতাংশ, নওগাঁ ২১ শতাংশ ও দিনাজপুর জেলায় ৩৯ শতাংশ। এদিকে ঢাকা মহানগরে সংক্রমণের হার ১০.৫৬ শতাংশ।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, সেটি নির্ভর করবে যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে, সে অনুপাতে রোগীর সংখ্যার ওপর। এ মুহূর্তে কোভিড ডেডিকেটেড ৭ হাজার শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে যদি রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার হয়ে যায়, তাহলেই সেটি নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, যদি শতকরা হারে বিবেচনা করি ঢাকা শহরে গড়ে এখনও সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সংক্রমণ ৬ শতাংশের নিচে আছে।
রাজশাহীর প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ ও মহিলা ৬ জন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ ও কুষ্টিয়ার ১ জন। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৬ দিনে মারা গেলেন ১৬১ জন।
খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনার করোনা হাসপাতালে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন।
মোংলা প্রতিনিধি জানান : চলমান করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় মোংলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
সিলেট প্রতিনিধি জানান : সিলেট বিভাগে বাড়ছে করোনা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনায় গত একদিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৫ ও মৌলভীবাজারের ২জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় ৪৪১ জন মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান: চট্টগ্রাম নগরীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রামে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৭ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ২৯৭ জন।