দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দলের আদর্শ, স্বার্থ ও শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য প্রদান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই নির্দেশনা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বলে জানান তিনি।

 

রোববার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে একথা জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমতি ছাড়া কমিটি বিলুপ্ত, গঠন বা কাউকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।

১২ জুন সংসদীয় বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাজনিত নির্দেশনা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অনুমতি ব্যতীত কোথাও কেউ কোনও কমিটি বিলুপ্ত, কমিটি গঠন, ব্যক্তি বা দল থেকে কাউকে অব্যাহতি দিতে পরবে না।’

সব পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্যও সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথাও কোনও সমস্যা হলে বিভাগীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে সমাধান করবেন।’

 

তিসি বলেন, ‘দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন অপকর্মে জড়িত হলে, অথবা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

বিদেশনির্ভর বিএনপির রাজনীতি এখন শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ‘দেশের রাজনীতি নাকি এখন সংকটময় অবস্থায় নিমজ্জিত’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে কোনও সংকটময় পরিস্থিতি নেই। বরং বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সংকটে। দেশ ও জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপিই নিজেদের জন্য সংকট তৈরি করেছে।’

 

বিএনপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কর্মীদের উত্তাল আন্দোলনের দিবাস্বপ্ন দেখাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য এখন আত্মরক্ষার ঢাল মাত্র।’

 

‘বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে’, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কচুরিপানা নয় যে বিএনপির হাঁক-ডাকে ভেসে যাবে। জনগণ তাদের আন্দোলনের অনেক মৌসুমি হাঁক-ডাক শুনেছে, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতাদের শীতনিন্দ্রায় চলে যাওয়াও দেখেছেন তাদের কর্মীরা।’

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার মানবিক ও সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল জনগণ অন্য কারও সন্ত্রাসনির্ভর আন্দোলনের হাঁকডাকে ভয় পায় না। তারা নতুন করে আন্দোলনের যে হাঁকডাক দিচ্ছে, তা অতীতের ধারাবাহিকতায় আরেকটি ব্যর্থ প্রয়াসের পূর্বাভাস মাত্র।’

 

আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান মানুষের মনিকোঠায়। অতীতে অনেক হত্যা,সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

 

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও দেশ একজন দেশপ্রেমিক, সৎ, আদর্শবান নেতা হারিয়েছে।’